টানা সাত ঘণ্টা ধরে জেরার পর কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ট হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি তাঁর বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, তৃণমূল যুব নেতা শান্তনুকে আয়-ব্যয়ের নথি নিয়ে দেখা করতে বলে ইডি। কুন্তলের সঙ্গে অভিনয় জগতের কার কার যোগাযোগ ছিল, কার কার সঙ্গে টাকার লেদদেন হয়েছে, এ সব জানতে চেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
তদন্তকারী এজেন্সি সূত্রেই জানা গিয়েছে, যুবনেতা শান্তনুর মাধ্যমেই তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের মধ্যে আলাপ হয়। তাপসের কথায়, শান্তনু হল কুন্তলের ‘দাদা’। গত ২০ জানুয়ারি তার বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। ইডির দাবি, সেই তল্লাশিতে ৩০০ জন প্রার্থীর তালিকা উদ্ধার হয়েছে। সেই বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলে এজেন্সি। এর পর শান্তনুকে ৬-৭ বার ডেকে পাঠায় ইডি।
শুক্রবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ তৃণমূল যুব নেতা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। তার পর থেকে শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। জেরায় তাঁর বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।