বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশকে গতকাল তলব করেছিল ইডি। সেই মতো সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্সে যান আকাশ। জেরা শেষে ইডি অফিস থেকে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বের হন আকাশ। আর অফিস থেকে বেরিয়েই দৌড় লাগান শান্তনু ঘনিষ্ঠ। এদিকে দৌড় লাগানো আকাশের পিছনে তখন ক্যামেরা ও বুম হাতে দৌড়চ্ছেন সাংবাদিকরাও। তবে অবশেষে 'উসেইন বোল্ট' আকাশ ক্লান্ত হয়ে থমকে দাঁড়ান। এরপরই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। (আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কড়া পদক্ষেপ কয়েকশো শিক্ষকের বিরুদ্ধে, কর্মজীবনে পড়বে দাগ)
বুধবার দুপুর ১২টার পর ইডি দফতরে ঢোকেন আকাশ এবং নিলয়। রাত ১০টার পর তাঁরা সেখান থেকে বার হন। বাইরে বেরিয়েই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণ থেকে বাঁচতে দৌড় লাগান আকাশ। তবে অবশেষে আর 'পালাতে' পারেননি। এদিকে আকাশ দাবি করেন, তাঁকে তলব করা হয়নি। বরং তাঁর নিজের কাছ ছিল বলেই তিনি এসেছিলেন। সাংবাদিকরা আরও প্রশ্ন করলে বিরক্ত হয়ে আকাশ বলেন, 'কেন বিরক্ত করছেন, বাড়ি যেতে দিন।' উল্লেখ্য, গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের রিসর্টে শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশ, বিশ্বরূপ প্রামাণিক এবং নিলয় মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। বুধবার তাঁদের কিছু নথি নিয়ে সিজিও কম্প্লেক্সে আসতে বলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই মতো আকাশ, নিলয়রা বুধবার ইডি দফতরে গিয়েছিলেন। এদিকে গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের যে রিসর্টে ইডি হানা দিয়েছিল, খাতায়কলমে ওই রিসর্টের মালিক আকাশ। তবে স্থানীয়দের দাবি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই ওই রিসর্টের আসল মালিক।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতার মামলা পিছিয়ে গিয়ে শাপে বর হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের
এদিকে আকাশের সঙ্গে ইডি দফতরে যাওয়া নিলয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'শান্তনুর সঙ্গে কী সম্পর্ক, কী ভাবে পরিচয় হল সেই বিষয়েই জানতে চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।' নিলয় দাবি করেন, শান্তনুর সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠতা থাকলেও গত দেড় বছরে তাঁর সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ ছিল না তাঁর। শান্তনুর কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না বলেও দাবি করেন নিলয়। এদিকে এককালে সিভিক পুলিশে কাজ করা নিলয় শান্তনুর সংস্থার ডিরেক্টর কীভাবে হলেন? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর নিলয় দিতে পারেননি। এদিকে স্থানীয়দের দাবি, শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় অন্যতম অংশীদারও এই নিলয়। শান্তনু এক সময় নিলয়ের নামে একটি গাড়িও কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।