বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে করা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, ‘আমি ছিলাম বলে ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে।’ সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘অঙ্কিতা অধিকারীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাত রয়েছে।’
এদিন বিধানসভায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন তৃণমূলে থাকাকালীন তৃণমূলকে ভাঙিয়ে করে খেয়েছে। এখন বিজেপিকে ভাঙিয়ে করে খাচ্ছে।
জবাবে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি ছিলাম বলে ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে। ওকে তো তুলে সেকেন্ড ব্রিজে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিল। কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে বসেছিল গান্ধীমূর্তির নীচে। তার পর রাজনাথ সিংরা ওখানে ছুটে গিয়েছিলেন।
আর আমি নন্দীগ্রাম করেছিলাম। নন্দীগ্রামের মানুষদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। তার পর উনি সিঙুরে ১৬ দিন বসে টাটার তৈরি কারখানাটা গুজরাটে তাড়িয়েছেন’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ১৭,০০০ যুবক যুবতীর চাকরি চলে যাবে বলে যে মন্তব্য করেছেন তাও অমূলক বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। বলেন, ‘সবার চাকরি যাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কী করে? যারা পরীক্ষা দেয়নি, পরীক্ষায় পাশ করেনি তার পরেও চাকরি পেয়েছে কোর্ট নথিপত্রের ভিত্তিতে তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে’।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘উনি জবাব দিন না পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা কী করে চাকরি পেয়েছে? পরেশ অধিকারী যতদিন ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন ততদিন চাকরি পায়নি। তৃণমূলে এলে উনি চাকরি দিয়েছেন। এই ডিলের পিছনে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যুক্ত’। এমন কী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।