ফের শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী। একেবারে সরাসরি আক্রমণ। তাঁকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, বলা হচ্ছে তৃণমূলে যখন ছিলেন তখনও তৃণমূলকে ভাঙিয়ে খেতেন, বিজেপিতে বিজেপিকে ভাঙিয়ে খাচ্ছেন? শুভেন্দু বলেন, আমি ছিলাম বলেই তো মুখ্যমন্ত্রী। ওঁকে সিঙ্গুর থেকে তুলে সেকেন্ড ব্রিজে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিলাম। আর কাঁদতে কাঁদতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসেছিলেন। ওখানে ছুটে গিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা, রাজনাথ সিংরা। আমি নন্দীগ্রাম করেছিলাম বলে, নন্দীগ্রামের জনগণকে নিয়ে, আমার ক্রেডিট কিছু নেই, সামনে থেকে লড়েছিলাম বলে…এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতের পরে সিঙ্গুরে বসে টাটার তৈরি করা কারখানাকে তুলে গুজরাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
শুভেন্দুর পরের খোঁচা, কে কার আত্মীয়কে এটা নয়, পরীক্ষা যারা দেয়নি, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে, টেটে পাশ করেনি তাদেরকে চাকরি দিয়েছে। তাদেরই বাতিল হচ্ছে। সকলের কেন চাকরি যাবে! উনি আগে সাফাই দিন পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কীভাবে চাকরি পেলেন। এই ডিলের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে যুক্ত। পশ্চিমবাংলার ২ কোটি বেকারকে ওনার বাড়িতে পৌঁছাব।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ২০১৩ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেদিন শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন সেদিন থেকে, তিনি যতদিন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, আমিও ততদিন তৃণমূলে ছিলাম। একটা চাকরি তো দূরের কথা, আমার বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে কোনও স্কুলের একটি ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত আমি তাঁর কাছ থেকে চাইনি। আর এই কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করব।