অবশেষে পুলিশের জালে শেখ শাহজাহান। কিন্তু সূত্রের খবর, পুলিশের হেফাজতে গিয়েও রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু ধরেছে তো পুলিশ। কিন্তু ইডি কি রেহাই দেবে শেখ শাহজাহানকে?
তবে সূত্রের খবর, ইডির তদন্ত থেকে রেহাই পেতে আগাম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আদৌ কি ইডির হাত থেকে রেহাই পাবেন শাহজাহান।
ইডির উপর হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। সেক্ষেত্রে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে ইডি। এদিকে ইডির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শেখ শাহজাহানও নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে শুধু হামলার অভিযোগ নয়, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত ৬টি মামলা রয়েছে সিআইডির হাতে। সেক্ষেত্রে এখন শেখ শাহজাহানের একটাই চেষ্টা ইডির হাতে তাকে যাতে না যেতে হয়। এনিয়ে আবেদনও জানিয়েছেন তার আইনজীবী। কিন্তু ইডির হাতে যেতে কেন এত আপত্তি শাহজাহানের?
তবে সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তাদের হেফাজতে থাকার সময়তেও দাপট কোনও অংশে কমেনি শাহজাহানের। সূত্রের খবর, এককথা বার বার তিনি বলতে রাজি নন বলেও জানিয়েছেন। এমনকী তদন্তে কতটা সহযোগিতা করছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে শেখ শাহজাহান বন্দি হওয়ার পরেও আতঙ্ক পুরোপুরি কাটছে না সন্দেশখালির। কারণ অনেকেরই ধারনা যে নেতা ধরা পড়ার পরেও এত দাপট দেখাচ্ছেন, শরীরী ভাষায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি কতটা প্রভাবশালী সেক্ষেত্রে তিনি বেরিয়ে এলে কী হতে পারে সেটা ভাবতেই কেঁপে উঠছে অনেকের বুক।
এদিকে শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরে উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালিতে। সকাল থেকে আসতবাজি পড়ানো শুরু হয়েছিল বিভিন্ন এলাকায়। বাসিন্দারা একে অপরের মিষ্টি মুখ করেছেন। দীর্ঘদিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সন্দেশখালির মানুষ বিভিন্ন এলাকায় আবির, মিষ্টিমুখের পাশাপাশি শোনা গিয়েছে জয় শ্রীরাম স্লোগান।
৫৫ দিন পর মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়।