৩৩ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ভ্যাকসিন সংরক্ষণকেন্দ্র। এখানে একেবারে সব গাইডলাইন মেনেই টিকা সংরক্ষণ করা হয়। সব মাপকাঠি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে নজরদারির ব্য়বস্থাও রয়েছে। তবে এতসব কিছুর পরেও একেবারে স্বাস্থ্য দফতরকে অন্ধকারে রেখে এই সংরক্ষণকেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ডের প্রায় ৫৫ হাজার ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৫ হাজার ডোজ সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। বলা যায় গায়েব হয়ে যায় ভ্যাকসিন। এদিকে এনিয়ে খোঁজ পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। এরপরই দেখা যায় ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চেতলায় ‘মেয়র’স হেলথ ক্লিনিকে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনগুলিকে। এখানেই প্রশ্ন স্বাস্থ্য দফতরকে না জানিয়ে কেন এগুলিকে সরানো হল? কেনই বা এগুলি সেখানে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরে প্রায় সপ্তাহখানের পর ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, সেই চিঠিতে ভ্যাকসিন সরানোর কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। যেখানে ভ্যাকসিন রাখা হয়েছে সেখানে ভ্যাকসিন রাখার সব গাইডলাইন মানা হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেন টিকা সরানোর আগে আগাম জানানো হল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল নেতারা ঠিক করছেন কে কোথায় ভ্যাকসিন নেবেন। এতদিন অন্য কিছুর সিন্ডিকেট চলত। এখন ভ্যাকসিনের সিন্ডিকেট চলছে।