দুই পাড়ার বিবাদ দিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আর তা থেকে চলল গুলি। এই শুটআউটের ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার ভবানীপুরে। যে এলাকা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। তাই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভবানীপুরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষেই চলে গুলি। মঙ্গলবার মাঝরাতে দুই পাড়ার সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভবানীপুর এলাকা। সেখান থেকে গুলি চলার মতোও ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে ভবানীপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ভিকি সাউ এবং তার অনুগামীরা রাতের অন্ধকারে এসে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। তখন কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা যুবকরা পাল্টা জবাব দেয়। এই নিয়ে চলে তীব্র বচসা। সেই বচসাই হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। এই সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ভিকি সাউয়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই গুলিচালনা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের অন্তত তিনজন। সংঘর্ষ চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির স্থানীয় যুবক ভিকি সাউ এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মাঝরাতে ভবানীপুর থানা এলাকার উড়িয়া পাড়ায় স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে এলাকার পরিচিত মুখ ভিকি সাউয়ের অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকেই গুলি চলে। পুলিশ গুলি চালানোর প্রমাণ পায়নি। এলাকার দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করে ভিকির অনুগামীরা। তারপরই দুই দলের মধ্য শুরু হয় হাতাহাতি।
আর কী জানা যাচ্ছে? ভবানীপুর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো গোলমাল মিটে গেলেও ফের নন্দন রোডে ভিকি সাউয়ের অনুগামীরা আবার চড়াও হয় বলেই অভিযোগ। তারা প্রদীপ রজক নামে এক যুবক এবং মধ্যবয়স্ক এক মহিলাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে এলাকার বাসিন্দারা কলকাতা পুলিশ হাসপাতাল সংলগ্ন বেনিনন্দন স্ট্রিটে ভিকি সাউয়ের বাড়ির কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তদন্ত শুরু করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।