বাংলাদেশের চট্টোগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত হিন্দুদের একজোট হয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে এই দাবি করেন শুভেন্দুবাবু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে চট্টগ্রামের হাজারী গলি সহ অন্যান্য হিন্দু অধ্যুষিত জায়গায় বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী নিরপরাধ, নিরস্ত্র হিন্দুদের উপর গত ৫ ই নভেম্বর রাত্রে আচমকাই হামলা চালায়।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবার পর থেকে ক্রমাগত হিন্দুরা ও হিন্দু মন্দির গুলি উগ্র মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে চলেছে। হিন্দুদের দোকান লুঠ করা হচ্ছে, সরকারি চাকরি থেকে জোর জবরদস্তি ইস্তফা দেওয়ানো হচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে এবং তারা একজোট হয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন। গত মাসে কয়েক লক্ষ হিন্দু এই অত্যাচারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং বিশ্বব্যাপী এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারের তথাকথিত মুখ মহম্মদ ইউনুসের এতে ভাবমূর্তি কলুষিত হয় যার ফল স্বরূপ হিন্দুদের শিক্ষা দিতে ইউনুসের আদেশেই বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী ন্যক্কারজনক ভাবে নিরপরাধ হিন্দুদের উপর আক্রমণ চালায়।'
শুভেন্দুবাবুর সংযোজন, ‘বাংলাদেশের যৌথবাহিনী শুধু হিন্দুদের উপর আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা হিন্দুদের দোকানপাট, বাড়িঘর, সোনাদানা, টাকাপয়সা সহ যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করে এবং এই আক্রমণের মূহুর্তে সমস্ত সিসিটিভি বন্ধ রাখা হয়েছিল বা ভাঙচুর করা হয়েছিল যাতে কোনোরকম ভিডিও ফুটেজ প্রমান হিসেবে না থাকে। এই হামলায় অসংখ্য হিন্দু আহত হয়েছেন, ২০০ জনের উপর হিন্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেটুকু খবর পেয়েছি যৌথ বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়জন হিন্দুর মৃত্যু ঘটার সম্ভাবনাও রয়েছে।'
বিরোধী দলনেতার দাবি, 'বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হিটলারের নাৎসি বাহিনীর অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে। সমগ্র বিশ্বের সকল হিন্দুদের এখন একজোট হয়ে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ বলে আমি মনে করি। আমি ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রী সম্মানীয় শ্রী এস জয়শঙ্কর মহোদয়ের কাছে বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত যা যা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব তাই গ্রহণ করার আর্জি জানাচ্ছি।'