কলকাতার নজরুল মঞ্চে জীবনের শেষ পারফরম্যান্স করে গিয়েছেন তিনি। তারপর চিরনিদ্রায় চলে যান সঙ্গীতশিল্পী কে কে। কিন্তু যুবসমাজের হৃদয়ে আজ আছেন তিনি। তাই তো মাধ্যমিক পাশ করার পর স্কুলজীবন শেষের মুহূর্তে— ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়, ইয়ে না হো তো কেয়া ফির...’ গানটি গেয়ে উঠল হেয়ার স্কুলের সাত বন্ধু। এরা সবাই মাধ্যমিক পাশ করেছে।
কেন কেকে’র গান গাইল তারা? মাধ্যমিক পাশ করার পর কেউ যাবে কলা বিভাগে। কেউ বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে। ১০ বছর একসঙ্গে কেটেছে। এবার সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাই তাদের আচ্ছন্ন করে রাখল বন্ধুত্বের কথা বলে যাওয়া কেকের বিখ্যাত গানটি। তিলোত্তমা ভুলবে না কেকে–কে। তাই তো গানে গানে তার প্রমাণ মিলল স্কুলের মাঠেও।
ঠিক কী ঘটেছে হেয়ার স্কুলে? এখানে দুপুরে মাধ্যমিকের শংসাপত্র নিতে এসেছিল কয়েকজন ছাত্র। অরুণাভ, আয়াঙ্ক, সুস্মিত স্কপল প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছে। বাকিরাও আসছে। এখানেই অরুণাভ জানায়, ‘ফলাফল জেনে গিয়েছি। সবাই পাশ করেছে। সুস্মিত আর আমি সায়েন্স নিয়ে পড়ব। আয়াঙ্ক যাবে আর্টসে। তাই দেখা সাক্ষাৎ কম হবে। এটা ভেবে ভাল লাগছে না।’ তাই ১০ বছরের বন্ধুত্বকে টিঁকিয়ে রাখতেই কেকের গানগুলি একসঙ্গে গাওয়া হল—‘ইয়ারি’ বাঁচিয়ে রাখতে কেকে ভরসা।
কী দেখা গেল এখানে? একজনের টুপি টান মেরে খুলে দিল অরুণাভ। তা নিয়ে ছোড়াছুড়ি চলল। তারপর সাতজনের সেলফি সেশন। সেই পর্ব পেরিয়ে স্মার্টফোন দেখে অরুণাভ বলে উঠল, ‘দেখ ভাই, কেকে’র ঘটনায় পুলিশ এসওপি দিয়েছে। ভিড়ের জন্যই কি মারা গিয়েছে ও?’ আর একজন বলল ‘হেবি মন খারাপ রে। কাল পাঁচবার একটানা ‘আলবিদা’ শুনছিলাম। আয়াঙ্কের কথায়, ‘ইয়ারো দোস্তি-টা কিন্তু সেরা বস। একেবারে আমাদের জন্য।’