সিঁথি থানায় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউয়ের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে রাজকুমারবাবুর দেহে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। সেই আঘাত কেউ করেছে না কি তিনি পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এখনো তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় সিঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হয় ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে। সন্ধে বেলায় থানা থেকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এর পরই থানার সামনে আছড়ে পড়ে বিক্ষোভ। পথে নামে বিজেপিও। নিহতের পরিজনদের দাবি, থানায় ডেকে নির্যাতন করা হয়েছে রাজকুমার বাবুর ওপর। দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের শক। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত ১ জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে লালবাজার। ২ জনকে ক্লোজ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর রাজকুমারবাবুর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, মৃতের বাঁ কনুইয়ে আঘাতের চিহ্নের উল্লেখ রয়েছে। কানের কাছেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এই সব আঘাত লাগল কী করে?
তদন্তে নেমেছে লালবাজারও। আঘাত করা হয়েছে না পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন রাজকুমারবাবু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওদিকে ঘটনার দিন থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলছেন না। প্রত্যেকেই হয় বলছেন, ‘দেখিনি’ অথবা বলছেন, ‘ওই সময় থানায় ছিলাম না’।