দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে তরজার মধ্যেই সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি দাবি করেন, বিজেপিতে যোগদান করেননি শিশির অধিকারী। শুধুমাত্র ইস্যুভিত্তিক সমর্থন দিয়েছেন মাত্র। দিলীপবাবুর এই দাবি ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, ‘তারা (শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী) আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানা নেই। ইস্যুভিত্তিক সমর্থন করে থাকতে পারেন। কিন্তু আমাদের পার্টিতে যোগ দিয়েছেন, আমাদের মঞ্চে ভাষণ দিয়েছেন এরকম আমার জানা নেই। যদি করে থাকেন, সেই তথ্য ওনাদের কাছে থাকলে ওনারাও যান। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করুন’।
গত ২১ মার্চ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অমিত শাহের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন শিশির অধিকারী। তাঁর স্বাগত জানান আরেক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এর পর শিশির অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘অমিত শাহকে বলেছি, অত্যাচারীদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমার পরিবার আপনাদের পাশে রয়েছে।’ এমনকী জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতেও শোনা যায় তাঁকে। তবে ভোটপ্রচারে তাঁকে দেখা যায়নি।
ভোট প্রচার চলাকালীন সরকারি মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে। তার সঙ্গে দলের সম্পর্ক তলানিতে। তবে বিজেপির মঞ্চে কখনও দেখা যায়নি তাঁকে।
ওদিকে শিশিরবাবু ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সাংসদপদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের কাছে বারবার দরবার করছে তৃণমূল।