বিমানবন্দরে আটকে রাখায় মেনকা গম্ভীরের 'হয়রানি' হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতর আটকে দেওয়ার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকার হয়রানি হলেও কোনওভাবেই আদালত অবমাননা করা হয়নি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্ককে যাওয়ার পথে মেনকাকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানোর অভিযোগ উঠেছিল অভিবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। মেনকার দাবি ছিল, ব্যাঙ্ককের উড়ান ধরতে রাত আটটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। বোর্ডিং পাস নিতে যাওয়ার সময় তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। উঠতে দেওয়া হয়নি বিমানে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরের ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। ইডির জারি করা লুক-আউট নোটিশের ভিত্তিতে অভিষেকের শ্যালিকাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়েছে।
সেই ঘটনায় অভিবাসন দফতর এবং ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন মেনকা। হাইকোর্টে মেনকার আইনজীবীরা দাবি করেন, মেনকাকে আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছে। তারপরও অহেতুক মেনকাকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল। তাতে আদালতের অবমাননা করা হয়েছে। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে ইডি এবং অভিবাসন দফতরের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: Menaka Gambhir ED Summon: ১২ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার, এবার দিনেরবেলায় ইডি দফতরে অভিষেক শ্যালিকা
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ হলফনামা পেশ করে ইডি। হলফনামার কেন্দ্রীয় স্বীকার করে নেয় যে বিমানবন্দরে মেনকাকে আটকে রেখে ঠিক হয়নি। তাঁকে ‘হয়রানি’ মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে সেই ঘটনার জেরে যে আদালত অবমাননা হয়নি বলে হলফনামায় দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির হলফনামা পেশের পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। আগামিকাল (শুক্রবার) রায় দেবে হাইকোর্ট।