বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবারের উপনির্বাচনে জিতেছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। তিনি হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা। কার্যত মর্যাদার লড়াইতে জিতেছেন তিনি। ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দেশের সেই সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্ণা। এদিন ২১শের মঞ্চ থেকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সরাসরি বিঁধলেন তিনি। ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি।
মধুপর্ণা ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেন, ওঁর এমনিতেই ডায়াবেটিস আছে। এত চাপ তিনি নিতে পারবেন না। আগামী লোকসভায় আপনার যত চাপ আছে আমায় দিয়ে দিন। আপনার জন্য় আপনার বোন সারা বাংলা ঘুরবে। আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। আপনি ঘরে বসে থাকুন। আপনার জন্য আপনার বোন কষ্ট করবে।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মুখে নারীদের পাশে থাকার কথা বললেও, নারীদের সম্মান প্রদর্শনের কথা বললেও বাস্তবে বিজেপি কতটা নারীদের পাশে থাকে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মধুপর্ণা। মধুপর্ণা বলেন, আমার একটা প্রশ্ন আছে বিজেপির কাছে। যখনই ভোট আসে নারী শক্তির কথা বলে। যখন ৭ এপ্রিল আপনাদের মন্ত্রী, আমার দাদা শান্তনু ঠাকুর মাঝরাতে আমাদের বের করে দিয়েছিলেন তার তো কোনও উত্তর দিলেন না। তার তো কোনও বিচার হল না কেন? সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে লড়াই করার কোনও ক্ষমতা বিজেপির নেই।
আর মমতা এদিনের সমাবেশে বলেন. যেখানে জিতেছেন মানুষকে ধন্যবাদ জানাবেন। যেখানে জিতিনি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলবেন আমাদের ক্ষমা করবেন। আমাদের মনে হয় কিছু ভুল ছিল। বড় বড় গাড়িতে ঘোরার থেকে সাইকেলে ঘোরা ভালো। স্কুটারে ঘোরা ভালো। কেউ অভিমান করে বসে থাকলে তাকে ডেকে আনবেন। ডেকে এনে কাজ করবেন।
এদিকে এবার বাগদা উপনির্বাচনে জিতেছেন মধুপর্ণা। এই আসনটা অন্তত বিজেপির কাছে পাখির চোখ ছিল। কিন্তু সেই আসনেও ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে এই আসন জেতাটা তৃণমূলের কাছে বড় প্রাপ্তি ছিল। সেই আসন থেকে জিতে মধুপর্ণা বলেন, বিধায়ক নয়, ঘরের মেয়ে হিসাবে বাগদাবাসীর হয়ে কাজ করে যেতে চাই।
কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটাই এদিনের সমাবেশে শোনা গেল মধুপর্ণার মুখ থেকে। সেই সঙ্গেই দাদা শান্তনু ঠাকুরকে একহাত নিলেন মধুপর্ণা। তাঁকে ঘরে বসে থাকার পরামর্শ দিলেন মধুপর্ণা।