প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল খুন হয়েছেন হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান। কিন্তু, এতটা সময় কেটে যাওয়ার পরেও কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তা এখনও খুঁজে বের করতে পারলেন না তদন্তকারীরা। এখন ঘটনার রাতে পুলিশের টহলদারি ভ্যান থেকে শুরু করে, পুলিশ আধিকারিক, হোম গার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে সিট। এর জন্য তাদের কল রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আমতা ও বাগনান সহ বেশ কয়েকটি থানায় আনিসের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তিনি দিনের বেলায় বাড়িতে থাকতেন না। রাতে বাড়িতে থাকতেন এবং ভোর হলেই বাড়ি থেকে চলে যেতেন। ঘটনার দিন আনিসের বাড়ি ফেরার খবর কোনওভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছিল পুলিশ। এখন থানার সমস্ত পুলিশের কললিস্ট খতিয়ে দেখে তারা কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার চেষ্টা করছে সিট। যদিও এই ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং হোমগার্ডকে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতারের পরেই দেখা যায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে ধৃতরা দাবি করেছিলেন যে ওসির নির্দেশেই তারা গিয়েছিলেন।
তবে তাদের বক্তব্যে কতটা সত্যতা রয়েছে তা জানার জন্য থানায় কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকদের ঘটনার দিনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিটের তদন্তকারীদের অনুমান, তাদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে ঘটনার সময় তারা কোথায় ছিলেন। ধৃত পুলিশকর্মীদের দাবি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পাশাপাশি, ১৫ দিনের মধ্যে এই ঘটনায় সিটকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, খুব দ্রুতই এই ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী কাছে জমা দেবে সিট। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও তারা দ্রুতই রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা যাচ্ছে।