গোটা বাংলা জুড়ে ভয়াবহ ট্যাব কেলেঙ্কারি। প্রকল্পের নাম তরুণের স্বপ্ন। কিন্তু সেখানে একেবারে স্বপ্নভঙ্গের মতো ব্যাপার! ট্যাবের জন্য় নির্দিষ্ট টাকা কীভাবে অন্য়ের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে। এমনকী কলকাতার স্কুলেও একই অভিযোগ। এবার সেই ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করল কলকাতা পুলিশ। সেই SIT এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে।
এদিকে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে থানায়। সরশুনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় দুজন যুবককে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম সরিফুল ইসলাম ও কৃষ্ণপদ বর্মন। তাদের বাড়ি চোপড়ায়। এদিকে ইতিমধ্য়েই যাদবপুর, সরশুনা, কসবা, বেনিয়াপুকুর, মানিকতলা, ওয়াটগঞ্জ থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে সরকারি কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সে সম্ভবত এই চক্রের কাছে তথ্য পৌঁছে দিয়েছে। কারণ সরকারি কর্মী যদি জড়িত না থাকে তবে এই ধরনের কাজ হতে পারে না। এদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর চোপড়া এলাকায় কোনও চক্র কাজ করছে কি না সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় ৪০ জনের ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এদিকে মালদায় এমন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যে আবার তৃণমূল নেতার ছেলে। তার সাইবার ক্যাফেতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেক্ষেত্রে এবার ট্যাব কেলেঙ্কারিতেও কি শাসক যোগ? সেক্ষেত্রে এবার সরকার কী ব্যবস্থা নেয় সেটাও দেখার।
এদিকে এসএফআইয়ের অভিযোগ, বহু স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেই স্কুলগুলির কমিটির শীর্ষ পদে বসে রয়েছে শাসকদলের লোকেরা। তাদের ওপরেও সন্দেহ রয়েছে।তাদের প্রশ্ন, শিক্ষা দফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পোর্টাল কীভাবে সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া চলছিল? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এসএফআই।
এর আগে সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ওয়েসিস স্কলারশিপের টাকা শাসকদলের ব্লক সভাপতিদের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে । তাহলে এক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, যে যে সমস্যাগুলি ছিল সেটা ধরা গিয়েছে। আমার ধারনা সামনের বার থেকে এটা হবে না বলে আমরা আশাবাদী।