বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লর হত্যাকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবার ও বিজেপির দাবি, মাত্র ৮ মাস আগে মণীশের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে প্রশাসন। তার পর সেই আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশের হাতে তুলে দেন মণীশ।
মণীশের বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার হুমকি নৈমিত্তিক ব্যাপার। আমার ছেলের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পুলিশ প্রত্যাহার করে। তার পর মণীশ তাঁর আগ্নেয়াস্ত্রটি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই অস্ত্র দিয়ে সে কোনও দিন একটা গুলিও চালায়নি। তাও কোনও কারণ না দেখিয়ে পুলিশ তাঁর বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করে। এর আগেও মণীশের প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে।
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘মণীশ কোনও ব্যতিক্রম নয়। ওরা আমার ছেলে ও ভাইপোর বন্দুকের লাইসেন্সও কেড়ে নিয়েছে। ওদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতেই একাজ করা হয়েছে। শুনেছি মণীশকে ৯ এমএম কারবাইন থেকে গুলি করা হয়েছে। সেই বন্দুক তো পুলিশের কাছে থাকে।‘
রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ে পুরানি বাজারে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।