আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে কলকাতার রাজপথ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এখন নানা মিছিল, ধরনা জারি আছে। সঙ্গে উঠেছে স্লোগান–উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আর এই আবহে এসএলএসটি প্রার্থীদের বিক্ষোভে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। আদালতের নির্দেশ মিললেও মিলছে না স্কুলের চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টে মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আটকাতে আকাশবাণীর সামনে ছিল পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। রাস্তায় ব্যারিকেডও করা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীরা আশা করেছিলেন দুর্গাপুজোর আগে চাকরি পেয়ে যাবেন।
এদিকে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি আছে। সেদিন সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে। সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের ফের আন্দোলন বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারত। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাস্তায় বসে কথা বলতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস কুণাল ঘোষকে। তখন বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রাস্তা অবরোধ করে। আর এই বিক্ষোভকারীরা কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থী। ১৫০ জনের জমায়েত করে কলকাতা হাইকোর্টের দিকে আসার কথা ছিল। কিন্তু কুণাল ঘোষকে কাছে পেয়ে আর তাঁরা তা করেননি। বরং বিষয়টিকে ছোট করে আনা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী–সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল আইএমএ, উত্তরবঙ্গে ঝড়
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে অবশেষে ৬ জনকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের বলেন, ‘রাজ্য সরকার আপনাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত। এই টালবাহানা একেবারেই যথাযথ নয়। আপনারা আজ কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে আপনাদের দাবি জানান। আমি কথা বলছি বাকিটা কেমন করে সাহায্য করা যায়।’ এতে এসএলএসটি প্রার্থীরা আশ্বস্ত হন।
আর এখন কলকাতার ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ধরনা চলছে। যা চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পরদিন বিশ্বকর্মা পুজো। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তাই আর কোনও ধরনা–আন্দোলন চলুক চাননি কুণাল। বরং তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের প্রতিনিধিদলকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আবার চাকরির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। গত ৯ বছর ধরে পরীক্ষা হয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশনের। দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের আশ্বাস ছিল, শীঘ্রই নিয়োগের পরীক্ষা হবে। কিন্তু কিছুই না হওয়ায় আবার আন্দোলনে সামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা।