ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট। মীনাক্ষী মুখার্জি নামে একটা প্রোফাইল থেকে এই পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে কার্যত ফিরহাদ হাকিমের একটি বিকৃত ছবিকে হাজির করা হয়েছিল। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তবে এবার এই পোস্ট করার অভিযোগে মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কর্মীরা এই ধরনের পোস্টের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।
প্রদীপ্ত মুখোপাধ্য়ায় নামে এক ব্যক্তি এনিয়ে চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। তিনি বলেন, একটা ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে জবাব দিতে হবে। না হলে আমরা রাস্তায় নামব।
এদিকে ডিওয়াইএফআই সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, যারা বলছেন আমার প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছে সেটা আমার প্রোফাইল থেকেই পোস্ট করা হয়েছে এটা প্রমাণ করতে পারবেন তো? এটার দায় আমার নয়।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যে প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল সেটা ফেক প্রোফাইল থেকে করা হয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটা যদি তিনি না করে থাকেন, তাঁর প্রোফাইল যদি হ্যাক হয়ে থাকে তবে এটা তাঁর লালবাজারে সাইবার সেলে দেওয়া দরকার।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি ওই পোস্টটা নিয়ে একটা নিন্দা করুন।
তিনি লিখেছেন, 'ছিঃ মীনাক্ষী।
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম সিপিএমের রাজনৈতিক শত্রু হতে পারেন। কিন্তু তার ছবি বিকৃত করতে গিয়ে দাড়ি, বোতল, মুসলিম সমাজ, মসজিদের ছবি এনে অসম্মান, কুরুচির এই প্রতিফলন ধিক্কারযোগ্য।
এই পোস্ট অবিলম্বে ডিলিট করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাজনীতিতে পেরে না উঠলেই এমন বিকৃতি আসে। এই প্ররোচনামূলকভাবে কোনো ধর্মকে অপমান করা ঘোরতর অন্যায়। তবে, সিপিএম তো, এরকমই মানসিকতা স্বাভাবিক।'
তবে গোটা ঘটনায় থেমে নেই বামেরাও। ইতিমধ্যেই এনিয়ে লালবাজারের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছেন মীনাক্ষী। মীনাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তাঁর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, একটি এক্স হ্যান্ডেল। এছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু এর বাইরেও আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও টুইটার অ্য়াকাউন্ট সামাজিক মাধ্যমে থাকলেও থাকতে পারে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট যারা পরিচালনা করছেন বা পোস্ট করছেন সেই প্রসঙ্গে আমার কোনও ভূমিকা নেই। বা কোনও ধরনের পোস্ট সম্পর্কে আমি অবগত নই। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন মীনাক্ষী।