এক দিকে প্রাণসংশয়, অন্য দিকে নেশা। দুয়ের মাঝে পড়েছেন এদেশের মদ্যপায়ীরা। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার মদের দোকান খুলতেই লম্বা লাইন দিয়েছেন তাঁরা। আর তা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকে। তাদের দাবি, যারা মদ কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাদের বিনামূল্যে রেশন বন্ধ করে দিক সরকার।

এক দিকে প্রাণসংশয়, অন্য দিকে নেশা। দুয়ের মাঝে পড়েছেন এদেশের মদ্যপায়ীরা। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার মদের দোকান খুলতেই লম্বা লাইন দিয়েছেন তাঁরা। আর তা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকে। তাদের দাবি, যারা মদ কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাদের বিনামূল্যে রেশন বন্ধ করে দিক সরকার।
নেটিজেনদের একাংশের দাবি, বিপদের সময় যারা বর্ধিত দামে মদ কিনতে পারেন তাঁরা চাল, ডাল, আলু কেনারও ক্ষমতা রাখেন। তাদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এমনকী, মদ কেনার সময় রেশন কার্ডে ছাপ মেরে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। সঙ্গে তাঁদের দাবি, ওই রেশন কার্ডে যেন আর বিনামূল্যে রেশন না দেয় সরকার।

ওদিকে সোমবার মদের দোকানের সামনের নানা ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোনওটায় দেখা যাচ্ছে, মদ কেনার জন্য চলছে ধাক্কাধাক্কি। তাদের ওপর আবার লাঠি চালাচ্ছে পুলিশ। কোনওটায় আবার কোনও ব্যক্তির হাতে একগুচ্ছ মদের বোতল দেখে মনে হচ্ছে যেন একসঙ্গে জিতেছেন একাধিক ট্রফি।

রসিকতা করে মদ্যপায়ীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। তারা লিখেছেন, করোনায় বিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দায়িত্ব নিয়েছেন মদ্যপায়ীরাই। তাদের সম্মান করুন।
বলে রাখি, লকডাউনের জেরে প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে গোটা দেশে খুলেছে মদের দোকান। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে মদের। সেসবের পরোয়া না করে মদের সোমবার সকাল থেকে দোকানের সামনে লাইন দিতে দেখা যায় অনেককে। দোকান খুলতেই বিভিন্ন জায়গায় উপচে পড়ে ভিড়। শিকেয় ওঠে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। মদের দোকানের ভিড় সামলাতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় লাঠি চালাতে হয়েছে পুলিশকে।
এত কিছুতেও ভ্রুক্ষেপ নেই মদ্যপায়ীদের। মদের দোকান যে খুলেছে তাতেই খুশি তাঁরা। অনেকেই বলছেন, ‘দাম বেড়েছে তাতে কী? ধরে নিন করোনা ট্যাক্স।’