নারদ মামলা চার হেভিওয়েটের জামিন সংক্রান্ত শুনানি চলছে তখন। নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার উপর কিছুটা বিরক্ত হন তৃণমূল সাংসদ। এই আবহে পরিস্থিতি হালকা করতে ময়দানে নামেন ধৃতদের পক্ষের অপর এক আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। পরে পরিস্থিতি সামাল দেন সলিসিটর জেনারেল তুষারও।
এদিন কথা প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, আদালতের রেজিস্ট্রার তাঁকে 'মিউটেট' করে দিয়েছেন। তখন কল্যাণকে থামিয়ে তুষার মেহতা বলেন, ওটা মনে হয় 'মিউট' হবে। বর্তমান প্রেক্ষিতে মিউটেটের অর্থ অন্যকিছু। আমি নিশ্চিত আপনি কোনও ভাইরাস নন। এরপর অভিষেক মনু সিংভি যখন কথা বলতে থাকেন, তখন তাঁকেও আটকান তুষার মেহতা। পরে অবশ্য তুষার মেহতা বলেন, 'আমরা (অভিষেক মনু সিংভি এবং তিনি) ভালো বন্ধু।'
এরপর ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী লুথরা বলেন, 'যদি এই শুনানি ভার্চুয়ালি না হয়ে শারীরিক উপস্থিতিতে হত, তাহলে আমরা চা বা কফি খেতাম শুনানি শেষে।' এর জবাবে সলিসিটর জেনারেল বলেন, 'শুধু চা বা কফি কেন, আমি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করতাম যাতে তিনি আমাদের কোনও ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়ে কুলচা বা রসগোল্লা খাওয়াতেন।'
এরপরই তুষার মেহতা, অভিষেক মনু সিংভি এবং লুথরাকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সিংভি ঠাট্টার শুরে বলেন, 'সলিসিটর জেনারেলকে গ্রেফতার করবেন না যেন আবার।' এরপরই সবাই হাসতে থাকেন। আইনজীবীদের এই ঠাট্টা তামাশা উপভোগ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিন্দালও।