সঞ্জয় রায় মুখ খুললে কেঁচো খুড়তে আরও বড় সাপ বেরোতে পারে। সেই আশঙ্কায় সাত তাড়াতাড়ি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। আরজি কর মামলার রায়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ পাঠ করে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্তবাবু আরজি কর মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের ব্যর্থতার অভিযোগ খণ্ডন করেন। এর পর রায়ের কপি পাঠ করে তিনি। সেখানে কী ভাবে পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে তা তুলে ধরেন সুকান্তবাবু। সঙ্গে উল্লেখ করেন আদালতের মন্তব্যও।
এর পর তিনি বলেন, ‘যারা সিবিআইকে দায়ী করছে তাদের আমি কোর্টের এই রায়টা ভালো করে পড়তে বলব। তৃণমূলের নেতাদেরকে ভালো করে পড়তে বলব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি সৎ সাহস থাকে। যদি পুলিশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে বাংলার জনগণের সামনে এসে তাঁর পুলিশে এই অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান। তাঁর ক্ষমতা চাওয়া উচিত। বাংলার মানুষের সামনে ও নির্যাতিতার মা - বাবার সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাঁর পুলিশ ও হাসপাতালে যে অবহেলা করেছে, যে ধরণের বেআইনি কাজ করেছে, সেবিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা বাংলার জনগণের সামনে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
এর পর তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের দ্রুত হাইকোর্টে যাওয়ার পিছনে ২টো কারণ রয়েছে। প্রথম, আদালত রায়ে পুলিশের যে কীর্তির কথা উল্লেখ করেছে তা যদি প্রকাশ্যে চলে আসে, এতে যেন সাধারণ মানুষের নজর না যায় সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালতে চলে গেল। শুধু তাই নয়, এই যে গাফিলতি, প্রমাণ লোপাট, তার সাথে সঞ্জয় রায়ের বার বার বলা আমি এতে জড়িত নই বিনীত গোয়েল এর সাথে জড়িত। আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঞ্জয় রায়কে ধনঞ্জয় করে ফেলা। সঞ্জয় রায়ের মুখটা যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করানো যায়। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে রেখেছে, তারা যদি এই নির্দেশ দিয়ে দেয় যে সিবিআই এই অভিযোগগুলোরও তদন্ত করবে তাহলে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকার বিপদে পড়বে।’