রাত বাড়ছে। স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নবান্নে আলোচনায় ডেকেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের। কিন্তু সেই মেলেও সাড়া দেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন। একসময় তিনি নবান্ন থেকে চলে যান। আর জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন যে মেলটা করা হয়েছিল তা অপমানজনক। আমরা যাব না। তবে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে।
এবার এনিয়ে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে খোঁচা দিলেন বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,' কলকাতায় জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ চলছে। দেখে মনে হল কেউ যেন এইমাত্র আগুনে গ্যালন গ্যালন কেরোসিন ঢেলে দিয়েছেন। জল ভেবে তিনি কেরোসিন ঢেলে দিয়েছেন। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তরা একই জায়গায় রয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কিছুর মূলে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পদত্যাগ দিয়ে শুরু হোক।' লিখেছেন অমিত মালব্য।
এক মাস হয়ে গিয়েছে। উৎসবে ফেরার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে ফেরার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কাজে ফিরছেন না। তাঁরা এখনও আন্দোলনে। কারণ তাঁদের দাবি মেটেনি। তাঁরা আন্দোলন তুললেন না। তাঁরা কর্মবিরতি তুলনেন না।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ৬টা ১০এ মেল গিয়েছে। ১০জন চাইলে আসতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে তাঁর ঘরে অপেক্ষা করছিলেন। …কিন্তু মেলের উত্তর আসেনি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্ট ৫টায় কর্মবিরতি তোলার কথা বলেছিল। কিন্তু ওদিক থেকে সাড়া মেলেনি।
আর জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'এই মেলকে সদর্থক হিসাবে দেখছি না। আলোচনার পথ খোলা রাখতে চাই। হেল্থ সচিবের কাছ থেকে ইমেল আসা কষ্টকর। নট মোর দ্যান ১০জন, এটাকে অসম্মানজনক বলে মনে করছি। যেভাবে মেল এসেছে এরপর দাঁড়িয়ে এই মেলে সাড়া দেওয়ার জায়গায় আমরা নেই। এরপরেও রাজ্য সরকার যদি ৫টা দাবির ব্যাপারে সদর্থক বার্তা পাই সেক্ষেত্রে কোথাও যাব কি না সেটা ভেবে দেখতে পারি। নবান্ন থেকে মেল আমরা পাইনি। স্বাস্থ্যসচিবের মেল থেকে একটা মেল পেয়েছি। অনেক নমনীয়ভাবে বলতে পারতেন। আমি জানি না নবান্নতে বসে কী হচ্ছে। আলোচনার পথ খোলা। আন্দোলনের ৩২দিন পরে যেভাবে অপমানজনক ভাবে ডাকা হল এই মেলে সাড়া দিতে পারছি না। আমরা যেভাবে অবস্থান বিক্ষোভে বসে রয়েছি সেভাবেই থাকব। আমরা চাই ১০-১২জনের টিম যেতে পারে না।