গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাঁকুড়গাছিতে স্বামীর হাতে খুন হয়েছিলেন স্ত্রী। এরপর স্বামী নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিলেন। বর্তমানে একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু, মায়ের খুনির জন্য চিকিৎসা খরচ দিতে একেবারেই রাজি নয় দুই ছেলে। শুধু তাই নয় বাবার সঙ্গে আর কোনওরকম ভাবেই কোনও সম্পর্ক রাখতে চান না তারা। কাঁকুড়গাছিতে বাবি বাকুলি খুনের ঘটনায় এমনটাই জানালেন তার ছেলে অভিষেক বাকুলি।
অভিষেক জানান, প্রতিদিনই মদ্যপ ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরত তার বাবা উত্তম বাকুলি। প্রথমে বাস চালাত। পরে সেই কাজও ছেড়ে দেয়। এরপরে এক মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার জেল হয়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই তার মায়ের উপর অত্যাচার চালাত বাবা উত্তম বাকুলি। কিন্তু, তারপরেও বাবার জামিনের জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলেন তার মা বাবি। শেষে তার বাবা জামিনও পেয়েছিল। কিন্তু, জামিন পাওয়ার পরেও অত্যাচার থামেনি। অভিষেকের কথায়, ‘মা আলাদা হয়ে গেলে হয়তো মাকে এভাবে খুন হতে হত না। ওই লোকটার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখবো না। পুলিশ যা করার করবে। ওই লোকটা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে কেমন আছে খোঁজও নিইনি। আর নেবও না। চিকিৎসার কোনও খরচ দেব না।’
অভিষেক জানান, ছোট থেকেই তাদের সংসারে ছিল দারিদ্রতা। কোনওভাবে তার মা তাদের পড়াশোনার খরচ যোগাতেন। রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অভিষেক বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করেন। একটি ফ্ল্যাটও কিনেছেন। তার অভিযোগ, তার মায়ের সব কিছুতেই সমস্যা ছিল বাবার। মা রাজনীতি করতেন সেটা তার বাবা পছন্দ করতেন না। অভিষেকের দাবি, তার বাবা প্রতিদিনই অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখবেন তাই দেখে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।