তৃণমূলের নব্য - আদি বিবাদে শুভেন্দুর যুক্তি সৌগত রায়ের মুখে

হড়পা বানের মতো দলে অনেক লোক ঢুকেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত ছিল। নতুনরা এসেছেন বলে পুরনোদের পিছনের সারিতে ঠেলে দেবেন এটা চলবে না। এটা দলের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়’।

সৌগত রায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই)

তৃণমূলের নেতৃত্বের রাশ থাকা উচিত ২০০৯ সালের আগে যারা দল করেছেন তাদের হাতে। কারণ তাঁরা নিঃস্বার্থভাবে দল করেছেন। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে এমনই মন্তব্য করেছেন দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। সৌগতরবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ কার্যত এই যুক্তিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করে থাকেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সৌগতবাবু বলেন, ‘২০০৯ এর আগে যারা দলে ছিলেন। যারা সিঙুর নন্দীগ্রামের আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদেরই পার্টির নেতৃত্বে থাকা উচিত। তারাই নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে পার্টি করেছেন। ২০০৯ সালে দলের ক্ষমতায় আসার কোনও ব্যাপার ছিল না। পাওয়া না পাওয়ার ব্যাপার ছিল না। তাদের মধ্যে অনেক বেশি নিষ্ঠা ছিল।

হড়পা বানের মতো দলে অনেক লোক ঢুকেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত ছিল। নতুনরা এসেছেন বলে পুরনোদের পিছনের সারিতে ঠেলে দেবেন এটা চলবে না। এটা দলের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়’।

প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দলের মধ্যে অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌগতবাবু? কারণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে এসেছেন ২০১১ সালের পরে। সিঙুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় দলের সঙ্গে দেখা যায়নি তাঁকে। সেকারণেই অভিষেকের নেতৃত্বে দল করতে অস্বীকার করে তৃণমূল ত্যাগ করেন শুভেন্দু। প্রশ্ন হল, তাহলে কি শুভেন্দুর যুক্তিকেই ঘুরিয়ে সমর্থন করলেন সৌগত রায়?