কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবার নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন সৌমেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকায় তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভার শীর্ষপদে ছিলেন অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য সরকারের এই নির্দেশে ছেদ পড়ে সেই ধারায়।
আদালত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সৌমেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলা গৃহীত হয়েছে। আগামী ৪ জানুয়ারি শুনানি হতে পারে সেই মামলার। আবেদনকারীর তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে, আইন অনুসারে পুর প্রশাসককে সরানোর অধিকার রাজ্য সরকারের হাতে থাকলেও এক্ষেত্রে প্রক্রিয়া মানা হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। ওই সন্ধ্যাতেই উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় এক সভায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বাসন্তী পূজার পর তাঁর বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে। বলে রাখি, সৌমেন্দুবাবু শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই। এছাড়া শুভেন্দুর আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। বাবা শিশির অধিকারী কাঁথির সাংসদ।
মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুর প্রশাসককে সরানোর অধিকার রাজ্য সকরাকের হাতে তাকলেও এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়েছে। যা আদালতে বিচার্য।’
সৌমেন্দুর অপসারণে হাইকোর্টে মামলা দায়েরের পর অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের পাকাপাকি বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।