বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। আর ইস্তফা দিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন সৌমিত্র খাঁ। সেইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। শুভেন্দুকে নিশানা করেই বিষ্ণুপুরের সাংসদের অভিযোগ, ‘শুধু অধিকারী অধিকারী চলছে। দিল্লিতে বার বার গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন একজন।’ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সৌমিত্র জানিয়েছেন, উনি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।
এদিন আচমকাই বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সৌমিত্র খাঁ। দলীয় পদ থেকে ইস্তফার কথা ফেসবুকে জানান সৌমিত্র। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমি বিজেপি ছিলাম, বিজেপিতে আছি, আগামী দিনে বিজেপিতেই থাকব। ভারত মাতা কী জয়।’ দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সৌমিত্র। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের সাংসদ জানান, ‘বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন। যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখনও নিজেকে বিশাল বলে মনে করতেন। দলে নাকি শুধু ওঁরই অবদান আছে। আমাদের কোনও অবদান নেই। দিল্লিতে গিয়ে যেভাবে ভুল বোঝাচ্ছেন তিনি, তাতে গোটা দল যেন একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি সৌমিত্র। শুভেন্দুকে আক্রমণ করে তিনি জানান, ‘বিধানসভা ভোটের এক মাস আগে এসে দলে সব চোর, চিটিংবাজদের জয়েন করিয়েছেন। তখন অনেককিছুই আমার ভালো লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে দল করতে আসিনি। আমার দাদা বা ভাইয়ের জন্য কিছু করার নেই।’ সৌমিত্রর এই বক্তব্য যে শুভেন্দুকে নিশানা করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে সূত্রের খবর, সৌমিত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়েই অভিমানবশত এই ধরনের মন্তব্য করছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত। সেক্ষেত্রে নিজের যাবতীয় ক্ষোভ তিনি উগড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ওপর।