রাতের অন্ধকারে করুণাময়ীতে টেট বিক্ষোভকারীদের পুলিশ দিয়ে তুলে দেওয়ায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে দিনভর জোরদার আন্দোলন করছে বাম এবং পদ্ম শিবির। এবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই দাবি জানিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদত্য়াগ করুন, মোদী সরকার চাকরি দেবে, টেটকাণ্ডে মিছিলে অগ্নিমিত্রা
চিঠিতে সৌমিত্র উল্লেখ করেছেন, চাকরি প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে লাঠিচার্জ করে অত্যাচার করেছে পুলিশ। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? সে প্রসঙ্গে শিক্ষা সচিবকে দিল্লিতে তলব করে তার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এই বিষয়ে তিনি ধর্মেন্দ্র প্রধানের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের আন্দোলন চলার সময় গতকাল রাত দুটো নাগাদ সেখানে পুলিশ গিয়ে প্রথমে জানায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরে মাইকিং করে প্রার্থীদের উঠে যেতে বলে। কিন্তু প্রার্থীরা আন্দোলনে অনড় থাকলে পুলিশ তাদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। এমনকি লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শাসকদলকে বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করে বিজেপি এবং বাম।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক রাজ্যকে এনিয়ে নিশানা করেন। টুইট নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টেট প্রার্থীদের অবস্থানকে তুলে দেওয়া হিটলারের জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেন। আজ দিনভর বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ করে বাম এবং বিজেপি। সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে প্রতিবাদ জানায় এবিভিপি।