দুজনেই রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রী। তবে ভিন্ন দলের। আর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চলছিল নানা টানাপোড়েন। এই মামলা চলছিল বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডলের মধ্যে। বাঁকুড়া আদালত থেকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা শিয়ালদহ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি কেশাং ডোমা ভুটিয়া। কারণ সৌমিত্র স্ত্রী সুজাতাকে হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা কলকাতায় স্থানান্তরের আবেদন করেন সুজাতা মণ্ডল।
কেন মামলা কলকাতায় স্থানান্তরের আবেদন? আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে সুজাতা মণ্ডল জানান, বাঁকুড়া আদালতে মামলা চলাকালীন তাঁকে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সাংসদ প্রভাব খাটাচ্ছেন। তাই মামলাটি বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন সুজাতা মণ্ডল। সেই মামলাটি শিয়ালদহ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল সুজাতার? বিজেপি সাংসদের নাম না করে আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছিলেন, ‘টেরাকোটা নগরীর দলবদলকারী চরিত্রহীন সাংসদ নিজের এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে না থেকে নয়াদিল্লির ঘরে বিধবা মহিলাদেরকে লোকদেখানি সিঁদুর পরিয়ে ফুর্তি মারছে। আর দলের রাজ্য নেতাদের দোষারোপ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুজাতা মণ্ডল। স্ত্রীর দলত্যাগে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ। সেই মামলা চলছিল। মামলা চলাকালীন সুজাতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাই মামলা কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।