সৌরভের সঙ্গে আর ক্রিকেটের সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞাপন করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া নিয়ে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে সৌরভকে কলকাতার শেরিফ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ত্রিপুরার পর্যটনমন্ত্রী। এর পর জানা যায়, ত্রিপুরার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন তিনি। এর পরই সৌরভকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা ছড়াতে থাকে।
বুধবার এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সৌগতবাবু বলেন, ‘আমার মনে হয় না এর কোনও রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে। অবসর গ্রহণের পর থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজ্ঞাপন জগতে এক নম্বরে আছে। কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে। আরেকটা রোজগার করার ওর জায়গা হল। সৌরভের সঙ্গে এখন ক্রিকেটের সম্পর্ক কম, রাজনীতির সম্পর্ক আরও কম। ওকে ত্রিপুরার লোকেরা ধরেছে। হয়তো বলেছে এত টাকা দেব। তাই উনি করছেন’।
পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, ‘বাংলার সরকারের উচিত ছিল তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বানানো। বাংলার সরকার তা করেনি তাই তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে। সেখানেও তো বাঙালি থাকে। তাই উনি বাঙালির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন। আমি দাবি করব, কলকাতার শেরিফ পদ ফাঁকা আছে। অবিলম্বে সেই পদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেওয়া উচিত’।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘ত্রিপুরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা চোখে দেখা যাচ্ছে। তিনি যদি যুক্ত হন তাহলে ভালো। বাঙালি সেন্টিমেন্ট আছে’।
এব্যাপারে সৌরভের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সৌরভের সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনীতির যোগ থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়া একটি নিখাদ বানিজ্যিক সিদ্ধান্ত। বিজেপি সরকারের জমানায় দীর্ঘদিন গুজরাতের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তখন তাঁর স্ত্রী জয়া ভাদুড়ি বচ্চন ছিলেন বিজেপি বিরোধী সমাজবাদী পার্টির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ।