ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ আর জল্পনা মতো এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার পদত্যাগের পরে শোভনদেব বলেন, দলনেত্রীকে আসন ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন।
এদিন শোভন বলেন, 'আমি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে জিতে বিধানসভায় যে পদ পেয়েছি, সেই বিধায়ক থেকে পদত্যাগ করলাম। প্রশ্ন করতে পারেন কেন করলাম। এই জন্যই করলাম, যাতে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে, তিনি এখান থেকে লড়়তে পারেন। এটা তাঁর জন্য সবথেকে ভালো আসন। আমার দায়িত্ব ছিল ওই গড়টাকে রক্ষা করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়তে হয়, তাই স্বেচ্ছায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করছি।'
শোভনদেব আরও বলেন, এব্যাপারে আমার উপর কোনও জোর করেনি বা কোনও নির্দেশ দেয়নি। আমি স্বেচ্ছায় ভবানীপুর ছেড়ে দিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ৩৬ বছরের। তিনি যে শক্তিকে পরাজিত করেছেন তাই জন্য তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতেই হবে। রাজনীতি করতে করতে সুখের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায়। রাজনীতির জীবনটাই এরকম। তার পরও মনে করি আমি তাঁকে স্নেহ করি। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে এখান থেকে নির্বাচনে জিততে হবে।'
এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে যখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পদত্যাগের বিষয়ে শোভনদেব নিজে জানান, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন তিনি। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি সন্তুষ্ট৷ তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেন ৷ এর পিছনে কোনও প্ররোচনা ছিল না৷ আমি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলাম৷'