রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার মিল্লি আল আমিন কলেজের দীর্ঘকালীন সমস্যার জট কাটাতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক মাস ধরেই এই কলেজে অচলাবস্থা চলছে বলে তাঁর অভিযোগ। এমনকী সেই সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। তাই শুক্রবার বিকেলে আচার্য হিসাবে তাঁর দ্বারস্থ হলেন তিনি।
একদিকে ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না অধ্যাপকরা। যার জেরে কয়েকদিন ধরে কলেজের গেটের বাইরে একদল পড়ুয়া ধর্নায় বসেছেন। কলেজের এমন সংকটের জেরে ইস্তফাও দেন অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পর থেকেই তাঁকে অপমানজনক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিনও তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলেজের সমস্যা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর।
কিছুদিন আগেই কলেজের বাইরে ধর্নায় বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। তিনি পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এমনকী অধ্যক্ষাকে সমূলে উৎপাটিত করার ডাক দেন তিনি। তাঁর সেই মন্তব্যকে অশালীন বলে দাবি করে রাজ্যপালের কাছে এদিন নালিশ ঠুকেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এমনকী বন্ধুর নামে এইসব বলা হচ্ছে বলে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমার ৪০–৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৩০ বছরের বেশি সময় আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। এই মন্তব্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তথা জনপ্রতিনিধি কী করে করতে পারেন আমার জানা নেই। এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞাহীন মন্তব্য আমি ব্যথিত। ফিরহাদের মিল্লি আল আমিন কলেজের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে আমার অবদান ছিল। ওর আত্মসমালোচনা করা উচিত।’
এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন? তখন তো ভোটব্যাঙ্কের চিন্তা ঘুরত মাথায়। ওনার শুভবু্দ্ধি উদয় হোক। এই আশা রাখি।’ এরপরই বিষয়টি নিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। তাঁর কথায়, ‘যে যা বলছে বলুক। আমি আমার কাজ করে যাব। দু’দিন আগে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছি। তবু রাস্তায় নেমে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই কে কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। মানুষই সব বিচার করবেন।’