বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Nandigram Movement: ‘‌ইতিহাসকে বিকৃত করছেন উনি’‌, নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দুকে একহাত নিলেন শোভন

Nandigram Movement: ‘‌ইতিহাসকে বিকৃত করছেন উনি’‌, নন্দীগ্রাম নিয়ে শুভেন্দুকে একহাত নিলেন শোভন

প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

এদিন ভিডিয়ো পোস্ট করে শোভন জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের ঘটনার দিন তিনি ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার যে দাবি বিরোধী দলনেতা করেছেন, তা অসত্য। গতকালের এই আক্রমণের জবাবে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারী পরিবার না থাকলে দিদিকে দিদিমা হয়ে যেতে হতো। এই বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এভাবেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। গতকালের এই আক্রমণের জবাবে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দুর বক্তব্যকে অসত্য প্রমাণ করেছেন তিনি।

ঠিক কী বলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়?‌ এদিন ভিডিয়ো পোস্ট করে শোভন জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের ঘটনার দিন তিনি ছিলেন তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার যে দাবি বিরোধী দলনেতা করেছেন, তা অসত্য। ভিডিয়ো বার্তায় শোভন বলেন, ‘রাজনীতি করতে নেমে ইতিহাসকে বিকৃত করছেন উনি। এটা কখনওই মেনে নেব না। আমি ওই আক্রমণের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলার মানুষ জানেন সেদিন কী হয়েছিল। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ যেদিন নন্দীগ্রামে গুলি চলে, সেদিন আমি উপস্থিত ছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে। সেটা নিশ্চয়ই শান্তিকুঞ্জ ছিল না। আমার মনে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে জল...। ঝরঝর করে কাঁদছেন আর বললেন, ওরা সবাইকে মেরে ফেলল কানন, চল আমরা নন্দীগ্রামে যাই। বিকেল সাড়ে ৩টের সময় আমরা রওনা হয়েছিলাম।’

আর শুভেন্দু অধিকারী কী দাবি করেছেন?‌ রবিবার লক্ষ্মীপুজোয় কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’–এ এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাড়ির সামনে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তৃণমূলনেত্রী মমতা যে বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন..., এই বাড়িতে (শান্তিকুঞ্জ) ছিলেন উনি। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ এই বাড়ির (শান্তিকুঞ্জ) ছাদে ছিলেন রাতে। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি তো দিদিমা হয়ে যেতেন’‌।

পাল্টা ঠিক কী শুনিয়েছেন শোভন?‌ ফেসবুকে সেদিনের গোটা ঘটনা শুনিয়েছেন শোভন। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে রাত সাড়ে ১০টার সময় আমরা কোলাঘাট থেকে চণ্ডীপুরের দিকে বাঁক নিতেই আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হল। সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল গাড়ি। দেখলাম, চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ধরেছে বহু মানুষ। তাঁদের হাতে গাঁইতি, কোদাল। তারা বলছে, পুলিশ, মিডিয়া–কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারবেন। দিদিরও জেদ, ‘আমি নন্দীগ্রাম যাবই।’ সে দিন আমিই এগিয়ে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি দেখে শুনে নেত্রীকে বলেছিলাম, আপনাকে ওরা মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে। তাই কাউকে যেতে দেবে না বলছে। আপনি ফিরে চলুন। সেদিন শুভেন্দু চণ্ডীপুরে আসেননি কেন? কোথায় ছিলেন তিনি? নিজেকে তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হোতা বলে এখন দাবি করছেন। মমতাই ওঁকে মন্ত্রী করে নিয়ে আসেন নন্দীগ্রাম থেকে। আমি–আপনি সব ওঁরই হাতে তৈরি। মনে রাখবেন, সৃষ্টি যদি স্রষ্টাকে অপমান করেন, তবে স্রষ্টার কিছু যাবে আসবে না। মানুষ সব দেখছেন তাঁরাই বুঝিয়ে দেবেন।’‌

বন্ধ করুন