একবার তাঁরা রাজি হন। আবার তাঁরা বেঁকে বসেন। তারপর ক্ষমাও চেয়ে নেন। তারপর আবার রাজি হন রোড–শো করতে। এই পরিস্থিতিতে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়–বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোয়ের আগে শোভন-ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। যা এখনও চলছে
রোড শোয়ের আগের বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে তৃণমূলে আরও ভাঙন হতে চলেছে কিনা, তার জবাবে হেসে ফেলে শোভনবাবু বলেন, ‘তাঁর জানা নেই। তবে তৃণমূলের অন্দরে দমবন্ধ হতে শুরু করেছে।’
শনিবার মধ্যরাতের পর শোভন-ঘনিষ্ঠ বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লের পোস্ট নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। সেখানে লেখা আছে, ‘ আমার চাওয়াটা (চাওয়ার) তোমাদের কাছে গুরুত্ব নেই। তা ঠিক আছে। কিন্তু পরে দোষ দিও না।’ কলকাতা পুরনিগমের ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুদীপ পোল্লের এই বক্তব্য প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শোভন–বৈশাখীর রোড–শোর আগে শোনা গিয়েছিল, শোভনের হাত ধরে বিজেপিতে তিন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলার যোগ দেবেন। যদিই সেই জল্পনায় জল পড়ে যায়। তৃণমূলের একাধিক বিদায়ী কাউন্সিলররা শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে খবর। সূত্রের দাবি, সেই তালিকায় সুদীপও অন্যতম। এবার সেটা হচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে।