পুরোপুরি 'গা-ছাড়া' দিয়ে এখনও মাঠে নামেননি বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তার আগেই ‘বেসুরো’ হলেন কলকাতা পুরনিগমের ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর সুদীপ পোল্লে। যিনি আবার রাজনৈতিক মহলে শোভন-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
শনিবার মধ্যরাতের পর একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'আমার চাওয়াটা (চাওয়ার) তোমাদের কাছে গুরুত্ব নেই, তা ঠিক আছে, কিন্তু পরে দোষ দিও না..।' সেই পোস্টের পর থেকেই স্বভাবতই শুরু হয়েছে জল্পনা।
রাজনৈতিক মহলের কানাঘুষো, কলকাতার একাধিক বিদায়ী কাউন্সিলের সঙ্গে বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভনের যোগাযোগ আছে। শোভন বিজেপিতে ‘সক্রিয়’ হলে তাঁরাও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতায় তৃণমূলকে আরও কিছুটা ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। সেই তালিকায় সুদীপও আছেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তিনি নিজে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক পোস্টে একাধিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। কখনও লিখেছেন, 'কাজ করে যাও, ফল লাভের আশা কর না, ওটা একান্তই মালিকের সিদ্ধান্ত।' কখনও আবার ফেসবুকে তাঁর উবাচ, 'সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে তার মাসুল তোমায় চোকাতে হবে।' তারইমধ্যে তৃণমূল সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েও পোস্ট করেছেন সুদীপ। ফলে পোল্লের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এমনিতেই গত সপ্তাহের ‘ভুল’ শোধরাতে আজ (সোমবার) দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করবেন শোভন। সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগেই তেঁতো অভিজ্ঞতার পর গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত সেই মিছিলকে দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচির মধ্যে আবদ্ধ রেখেছে বিজেপি। মিছিলে সম্ভবত গেরুয়া শিবিরের রাজ্যস্তরের কোনও নেতা উপস্থিত থাকছেন না। তবে সুদীপের মতো বিদায়ী কাউন্সিলরদের দলে টানলে বিজেপি নেতারা আবারও ‘সদয়’ হতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।