কলকাতা পুরসভা নির্বাচন আগামী ১৯ ডিসেম্বর। সুতরাং হাতে বেশি সময় নেই। প্রচারে নেমে পড়েছেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই। এখন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড হয়ে উঠেছে নজরকাড়া। কারণ সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, তাঁর দুই নয়, তিন সন্তান। এমনকী তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছিলেন, ‘দশমীর দিন সিঁদুর খেলার ঘটনাতে আপনারা ছেলে খেলা মনে করতে পারেন। কিন্তু, তা কীভাবে সত্যি করতে হয় সেজন্য আমি শপথ নিয়েছি। হিম্মত থাকলে দেখে যান। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের যাবতীয় অপপ্রচারের জবাব আমি ফেসবুকেই দেবো। অপেক্ষা করুন।’ এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ওয়ার্ড থেকে পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি এখন বিধায়কও। এবার মায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমে রত্না পুত্র ঋষি সপাটে ব্যাট চালালেন। খুললেন বাবা শোভনের বিরুদ্ধে মুখও। যা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ফেসবুক পোস্টে করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমার দুই সন্তান নয়, তিন সন্তান। সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায়, সুহানী চট্টোপাধ্যায় এবং রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ রিলিনা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে। এই নিয়ে আজ রত্না পুত্র বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমার কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়াই উচিত নয়। তিনি বলছেন তাঁর আরও একটি সন্তান আছে। এখন যদি পাগল হয়ে এবার বলে বসেন তিনি তাঁর নিজের মেয়ে সেক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করানো উচিত। আমি বিশ্বাস করি না একটা মানুষ চার বছরে এতটা পাগল হয়ে গেল যে মাথায় সিঁদুর লাগাচ্ছে বেআইনিভাবে।’
রত্না চট্টোপাধ্যায় এখন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাও কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। আগে এই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে শোভন পুত্র পাল্টা বলেন, ‘২০১৭ সালের পর থেকে এই ওয়ার্ডের মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তখন শোভনবাবু ঘুরেও দেখেননি এখানের মানুষজন কেমন আছেন। আমফানের সময় মা একা হাতে এই ওয়ার্ড সামলেছেন। মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে থেকেছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস মাকে প্রার্থী করা নিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাগ করাটা বোকা বোকা বিষয়।’
কিন্তু ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে কাকে তিনি এগিয়ে রাখবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে বাবা অনেক কাজ করেছেন। আমার পরিবার নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শোভনবাবু চলে যাওয়ার পর মা একা লড়াই করেছেন। এখানের মানুষের সুখে–দুঃখে পাশে থেকেছেন। সুতরাং একজন আগে কাজ করেছেন আর একজন তাঁর অনুপস্থিতিতে কাজ করে দেখিয়েছেন।’