আজ তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। এই আসনটি জিততে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ স্বয়ং অমিত শাহ এই আসনটিতে এসে প্রচার করেছিলেন। সঙ্গে ছিল করোনা আবহ। বিজেপির তারকা প্রার্থী দাঁড়ালেও আগ্রাসন ছিল মারাত্মক। সেই আসনটি এবার তিনি ছেড়ে দিলেন। কোনও লোভে নয়। স্রেফ নেত্রীর দিকে তাকিয়ে। হ্যাঁ, তিনি বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেও মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন না তিনি। কৃষিমন্ত্রীই থাকছেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাটাই জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এক্ষেত্রে মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে।
এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দল নির্দেশ দেয়। কিন্তু আমাকে কোনও নির্দেশ দল দেয়নি। আমি নিজের ইচ্ছেতেই পদত্যাগ করছি।’ আর দলের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সকলেই দলের পক্ষ থেকে চাই, যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাই তাঁকে আবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়ে দল চাইছে তিনি ভবানীপুর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। শোভনদেব দলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেন।’
পার্থবাবু আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার যা কথা হয়েছে, তাতে তিনি বলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব চালিয়ে যাবেন। অন্য কোন আসন থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেটা দল ঠিক করবে। যদিও শোভনদেব পদত্যাগ করার পর একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। কিন্তু তৃণমূল মহাসচিবের মন্তব্যে সেই জল্পনা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।
আর সূত্রের খবর, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, রাজ্য–রাজনীতিতেই তিনি থাকতে চান। রাজ্যসভায় যেতে চান না। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই রাজ্যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে চান। তাই আপাতত তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জল্পনা ধামাচাপা পড়ে গেল। বিজেপি এই রাজ্যে আগ্রাসন দেখাচ্ছে। তার মোকাবিলা করতে রাজ্যেই থাকতে চান তিনি।