তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে মামলার শুনানি চলছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পুনরায় এই মামলার শুনানি করেছেন স্পিকার। তিনি এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তবে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ আদৌও খারিজ হবে কি না তা নিয়ে আগামী ১১ মে বুধবার সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। ওইদিনই স্পিকার তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
এর আগে বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়কে বিধায়ক পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে হাইকোর্ট স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তে সহমত না হওয়ায় চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর থেকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে মামলার শুনানি চলছে স্পিকারের কক্ষে। শুক্রবার দু'পক্ষকে ডাকা হয়। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি। তার পরিবর্তে তার আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে কোনও সই নেই বলেই স্পিকারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর বিধায়ক পদ এখনও খারিজ হয়নি। এরপর দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তার ভিত্তিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখনও দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বহাল রেখেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, যেহেতু তিনি খাতায়-কলমে এখনও বিজেপিতে রয়েছেন তাই তাঁর বিধায়ক পদ বৈধ। তবে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেওয়ার পরেই অস্বস্তিতে পড়েন মুকুল রায়।