মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতোই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান স্পিকার। তবে এরজন্য আবার দুপক্ষের শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে মামলার শুনানি করেছিলেন স্পিকার। তার পরে অবশ্য মুকুল রায়কে বিধায়ক পদ খারিজ করেন নি। তার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্ট স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল।
আজ সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ‘কলকাতা হাই কোর্ট যে রিমাইন্ডার আমাকে পাঠিয়েছে আমি আইনতভাবে যতটা গ্রহণ করা সম্ভব তা করব। আবার দু'পক্ষকে ডেকে হিয়ারিং করে সিদ্ধান্ত নেব।’ উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল। পরে তিনি আবার তৃণমূলে যোগ দেন। গত ১১ জুন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সাংবাদিক বৈঠককে প্রমাণ হিসেবে ধরে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ১১ এপ্রিলের সেই নির্দেশে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে এরজন্য চার সপ্তাহের সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। মনে করা হচ্ছে দ্রুতই এনিয়ে হিয়ারিং শুরু করে দেবেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর বিধায়ক পদ এখনও খারিজ হয়নি। এরপর দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তার ভিত্তিতে গত ১১ ই ফেব্রুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালত এবিষয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখনও দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিধানসভার স্পিকার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বহাল রেখেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, যেহেতু তিনি খাতায়-কলমে এখনও বিজেপিতে রয়েছেন তাই তাঁর বিধায়ক পদ বৈধ। তবে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার নির্দেশ দেওয়ায় অস্বস্তিতে মুকুল রায়।