এবার জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে চেয়ে সিবিআই আবেদন করল আদালতে। আর তা মঞ্জুর করল আদালত। এই ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এখানেই সায়গল হোসেনের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। কারণ মানিককে ভবিষ্যতে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন বিশেষ আদালতে জেলে গিয়ে জেরার আবেদন জানায় সিবিআই। আর মানিককে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয় আদালত। এমনকী প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে, তদন্তকারী আধিকারিককে সবরকম সহযোগিতারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মানিকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ সিবিআইয়ের? শুক্রবার জামিন পেলেন না মানিক ভট্টাচার্য। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মানিকের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইডি’র বিশেষ আদালত। সওয়াল–জবাবের সময় এদিন মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলা হয়, নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে স্ত্রী–সহ পরিবারের সদস্যদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেও পিছপা হননি মানিক। যদিও মানিকের আইনজীবী দাবি করেন, প্রথম থেকে সহযোগিতা করা হলেও গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানান তিনি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশীপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিককে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আর সেই গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে হলফনামা দিয়ে দাবি করা হয়, সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই অবস্থায় ইডি তাঁকে কী করে গ্রেফতার করল? তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ইডির গ্রেফতারিতে কোনও ভুল নেই। এখন প্রেসিডেন্সি জেলে থাকতে হচ্ছে মানিককে। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি।
ঠিক কী জানিয়েছে সিবিআই? এবার বিশেষ আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে মানিককে তারা জেরা করতে চান। এখন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মানিক প্রেসিডেন্সি জেলে। তাই আদালতের পক্ষ থেকে সিবিআইকে অনুমতি দেওয়া হোক মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জেরা করার জন্য। দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে বিচারক সিবিআইকে সেই অনুমতি দেয়। আর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে এই সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা করার জন্য।