আগামীকাল রক্তঋণ শোধ করার দিন। শহিদের রক্ত যাতে ব্যর্থ না হয় তার জন্য শপথ নেওয়া হবে। হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। রাত পোহালেই গোটা রাজ্যের অভিমুখ হয়ে উঠবে ধর্মতলা। কারণ এখান থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনের চলার পথের দিকনির্দেশ করবেন। তাই দলীয় কর্মীদের জন্য এবারের ২১ জুলাইয়ে থাকছে বিশেষ ড্রেসকোড। পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের জন্য ওড়না।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ধর্মতলায় গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতারা। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর দেখা করতে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হাতে বিশেষ এই পাঞ্জাবি তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পাঞ্জাবি পরেই দলীয় কর্মীরা ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে যোগদান করবেন।
কেমন হচ্ছে সেই ড্রেসকোড? এই বিশেষ ড্রেসকোড সম্পূর্ণ খাদির তৈরি। দলের পুরুষ কর্মীদের জন্য খাদির তৈরি পাঞ্জাবি এবং মহিলাদের জন্য খাদির ওড়না। দুটি পোশাকেই থাকছে দলের প্রতীক ঘাসের উপর জোড়াফুল। আর স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য থাকছে বিশেষ টি–শার্ট। একইসঙ্গে শহিদ সমাবেশে অংশ নিতে আসা সকল কর্মী–সমর্থকের জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্তু নেতা–মন্ত্রীরা কী পরবেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, শুধুমাত্র কর্মী–সমর্থকরাই নয় এই শহিদ মঞ্চে বিশেষ খাদির পাঞ্জাবি পরবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত মন্ত্রী–বিধায়করা। অন্য কোনও পোশাক পরা যাবে না এই শহিদ সমাবেশে। তাই খাদির পাঞ্জাবি এবং ওড়না দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। ছাই রঙের এই পোশাকে মেতে উঠবে গোটা মঞ্চ।