একাধিক ঘটনা। বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে রোগীর। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর চুল্লিতে দেহ ঢোকাতেই বড় বিপত্তি। পেসমেকার ফেটে চুল্লি বন্ধ হয়ে গিয়েছে বারবার। এদিকে চুল্লির বাইরে অন্ত্যেষ্টির অপেক্ষায় তখন সারি সারি দেহ। এবার এই বিপত্তি এড়াতে বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্তের দেহে যদি পেসমেকার থাকে তবে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেওয়ার আগে তা বের করে নিতে হবে। হৃদযন্ত্রে পেসমেকার নেই এই মর্মে মৃতের পরিজনদের মুচলেকা দিতে হবে।
তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, শুধু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে নয়,অন্যান্য দেহের ক্ষেত্রেও চুল্লিতে দেহ ঢোকানোর আগে পেসমেকার বের করে নিতে হয়। কিন্তু করোনাকালে এত দেহের চাপ থাকছে যে কিছুক্ষেত্রে নজরদারিতে সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে করোনা রোগীর মৃত্যুর পর পরিজনদেরই জানিয়ে দিতে হবে মৃতের শরীরে পেসমেকার নেই। মূলত সৎকার যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয় সেকারণেই এই বিশেষ মুচলেকা দিতে হবে পরিজনদের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনায় মৃতদের মধ্যে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকা পুরুষের হার প্রায় ১০.৪৭ শতাংশ। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার ৮.১৩ শতাংশ। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রোগীর পরিবার যদি পেসমেকারের বিষয়টি নিশ্চত করেন তবে অনেকটাই সুবিধা হয়। কারণ পেসমেকার থাকলে চুল্লির ভেতরেই শব্দ হয়ে ফেটে যায়। এতে চুল্লি সাটডাইন হয়ে যায়। পুনরায় চুল্লি চালু করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই হয়রানি কমানোর জন্য এই নতুন নির্দেশ।