এবার সল্টলেকের সুকান্তনগরে গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারি দম্পতির দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। একটি বড় প্যাকেটে থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি ছোট প্যাকেট। তার মধ্যেও হেরোইন ছিল। ওই প্যাকেটগুলিতে ঠাসা ছিল বহুমূল্য হেরোইন। শহরেরই নানা প্রান্তে তা পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে মাদক কারবারি দম্পতি মোমিন খান এবং মেহতাব বিবি সুকান্তনগরের আবাসনে পাঁচতলার ফ্ল্যাটে এসি ঘরে ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে মাদক তৈরির কারবার চালাত বলে অভিযোগ। গত ১৬ মার্চ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এবার তাদের বিলাসবহুল গাড়িতেও লুকোনো মাদকের সন্ধান মিলল। যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। বিধাননগরের নাওডাঙা থেকে লাখ লাখ টাকার হেরোইনের লেনদেন হতো। ধৃতদের জেরা করে এখন একের পর এক তথ্য উঠে আসছে।
অন্যদিকে আজ, বুধবার শহরে উদ্ধার হওয়া হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকার। সল্টলেক সুকান্তনগরে মাদক কারবারির বাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ৫ কেজি মাদক উদ্ধার করেছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, মাঝরাতে নওডাঙার ওই সেক্টরেই আবার অভিযান চালানো হয়। সেখানেই দুটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পাওয়া যায়। দুটি গাড়িতেই প্রচুর হেরোইন মজুত করা ছিল। একটি ব্যাগে ভর্তি ছিল হেরোইন। আর দুটি গাড়িতে ৩০ হাজার ছোট ছোট প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। সবকটিতেই রয়েছে বহুমূল্য ড্রাগ। সব মিলিয়ে যার বাজারদর হতে পারে ৫ কোটি টাকার বেশি।
এছাড়া মাদক পাচারচক্রের জাল বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া দম্পতি পশুপালনের ব্যবসা করতেন। আড়ালে চলত মাদক কারবার। ধাপার মনপুর এলাকায় তাঁদের একটি ফ্ল্যাট আছে। মাদক তৈরি থেকে বিক্রির কাজ করত ওই দম্পতি। তাঁদের কাছ থেকেও প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন মিলেছিল। এই পাচারচক্রে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে সেটা এখন জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup