শুক্রবারই রাজ্যে রাজ্যসভার খালি হওয়া একমাত্র আসনটিতে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। আসনটিতে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। ফলে একমাত্র আসনটিতে কে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। সঙ্গে বিজেপি সূত্রের খবর, জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দিতায় যাবে তারা। ওদিকে তৃণমূলের অন্দরের খবর, ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার।
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক অভিরূপ সরকার সিঙুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকেই তৃণমূলের সোচ্চার সমর্থক। ক্ষমতায় এসে একাধিক সরকারি পদে ছিলেন তিনি। শেষে ২০১৯ লোকসভা ভোটে হারের পর ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করে অভিরূপবাবুকে তাঁর সভাপতির পদে বসান মমতা। সেই মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সেপ্টেম্বরে। তার আগেই অভিরূপবাবুকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যের অর্থনৈতিক দাবি দাওয়া নিয়ে সংসদে সোচ্চা হতে অভিরূপবাবুর হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চান মমতা। রাজ্যের তোলা আর্থিক উপেক্ষার অভিযোগ সংসদে প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বর্তাতে পারে তাঁর কাঁধে। তবে এব্যাপারে অভিরূপবাবুর মতামত এখনো মেলেনি।
ওদিকে বিজেপি সূত্রের খবর, জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও প্রার্থী দেবে তারা। PAC-র চেয়ারম্যান পদ নিয়ে সরকারের অবস্থানের জবাবে সরকারের সঙ্গে সমস্ত স্তরে অসহযোগিতার নীতির অংশ হিসাবে এই কাজ করবে তারা।
রাজ্যসভার সদস্যপদে দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগে খালি হয়েছে একটি আসন। আগামী ৭ অগাস্ট আসনটিতে নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।