বিজেপির কোন্দলে কোন দিকে ঝুঁকে রয়েছে পাল্লা? অষ্টমীর সকালে যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর ইস্তফা ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই জল্পনা। বিজেপির এই কোন্দল শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামতে পারে তা নিয়েও চিন্তায় দলেরই একাংশ। তবে এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মুকুল রায়ের অবস্থান। এই বিদ্রোহে কি মানসপুত্র সৌমিত্র খাঁর পাশে থাকবেন তিনি? না কি দাঁড়াবেন দিলীপের হাত ধরে? কারণ মুকুল যে এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি।
গত মাসেই বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছিলেন মুকুল। তার পরই সৌমিত্রর বিদ্রোহে মুকুলের মদত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল। দলের একাংশে জল্পনা ছিল, মুকুল রায় সহ দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার মদতেই দিলীপের আপত্তি অগ্রাহ্য করে যুব মোর্চার জেলা কমিটি বানিয়েছিলেন সৌমিত্র। যা শেষ পর্যন্ত কলমের খোঁচা দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তিনি। ফলে মুকুলের মন্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই।
তবে বেলা গড়াতে বোঝা যায়, সৌমিত্র খাঁয়ের পাশে সম্ভবত নেই মুকুল রায়। বিশেষ করে যে ভাবে তিনি ইস্তফা ঘোষণা করেছেন তাতে ক্ষুব্ধ মুকুল। নিজে মুখে কিছু না বললেও মুখ খুলেছেন তাঁর আরেক অনুগামী শঙ্কুদেব পাণ্ডা। সৌমিত্রর আচরণের বিরোধিতা করেছেন তিনি। শঙ্কুদেব বলেন, ‘সৌমিত্রদা শিশু সুলভ আচরণ করছেন। এতে তাঁর নিজের ক্ষতি তো হবেই, দলেরও ক্ষতি হবে।’ সঙ্গে দিলীপদা ব্যাপারটা অন্য ভাবে সামলাতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার এক নির্দেশিকা জারি করে বিজেপি যুব মোর্চার সমস্ত জেলা কমিটিকে বরখাস্ত করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সূত্রের খবর, শাখা সংগঠন হলেও বিজেপি জেলা সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছিল না যুব মোর্চার সংগঠন। যার জেরে কড়া পদক্ষেপ করেন দিলীপ।