মঙ্গলবার বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ কর্মসমিতির বৈঠকের আগে ছড়িয়েছে একাধিক গুঞ্জন। বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাজির থাকবেন কি না তা নিয়ে চলছে জল্পনা। এরই মধ্যে জল্পনা জোরদার হয়েছে ডোমজুড়ের পরাজিত প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। ইতিমধ্যে রাজীবের কাছে পৌঁছেছে আমন্ত্রণপত্র। মঙ্গলবার কি হেস্টিংসের আগরওয়াল হাউজের ৮১১ নম্বর ঘরে হাজির থাকবেন রাজীব? প্রায় ২ মাস পর কি খুলবে সেই ঘরের দোর? জবাব খুঁজছেন বিজেপি নেতারাও।
বিধানসভা নির্বাচনে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন রাজীববাবু। তার পর থেকেই দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। বিজেপি সূত্রের খবর, দলীয় নেতাদের ফোন ধরেন না রাজীব। এরই মধ্যে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পরদিন বিকেলে রাজীবকে দেখা যায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে। যদিও বেরিয়ে জানান, সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন তিনি। এর পর মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান তিনি। ঘটনাক্রমে স্পষ্ট হয় তৃণমূলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ভোটে বিজেপির অন্যতম কান্ডারি মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সঙ্গে তৃণমূলে ফেরার কাতর আবেদন জানিয়েছেন দলবদলকারী একাধিক নেতা। প্রকাশ্যে তেমন কোনও আবেদন না জানালেও রাজীবের গতিবিধিতে স্পষ্ট পুরনো দলেই ফিরতে চান তিনি। কিছুদিন আগে ফেসবুকে বিজেপির সমালোচনা করে পোস্ট করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতে আসা সরকারের এত তাড়াতাড়ি সমালোচনা করার দরকার কী? বরং আত্মসমালোচনা করুক বিজেপি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলত্যাগীদের দলে ফেরানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন তা মেনে রাজীবকে ফেরানো সম্ভব নয়। সঙ্গে রাজীব দলে ফিরতে চাওয়ায় সুর চড়িয়েছে দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ে রাজীবের বিরুদ্ধে প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন যিনি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ফের বিজেপির কাছাকাছি আসার বার্তা দিয়েছেন রাজীব। অনুগামীদের দিয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ঘরছাড়াদের তালিকা পাঠিয়েছেন তিনি।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, দফতরে না এলেও বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি।