বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের তালিকায় নেই দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার নাম। শনিবার যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে নাম নেই রাহুল সিনহার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। জল্পনা জোর পেয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপি যোগ দিয়েই দলের সচিবের দায়িত্ব পাওয়া অনুপম হাজরাকে নিয়েও।
রাহুলকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করার পর থেকেই জল্পনা চলছিল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। অবশেষে তাঁকে দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে মুখ রাখে বিজেপি। নামে সর্বভারতীয় নেতা হলেও গত কয়েকবছরে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি রাহুল সিনহার। এবার তিনি বাদ পড়লেন সেই পদ থেকেও।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানে রাহুল সিনহার ভূমিকা উপেক্ষা করার নয়। মমতা জমানার প্রথম ইনিংসে দলের পালে হাওয়া টানলেও নির্বাচনী সাফল্য দিতে পারেননি রাহুল সিনহা। যদিও টাকা পয়সা জোগাড় করে দলের তহবিল ভরেছিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বিজেপির সম্পাদক পদে বসলেও রাহুল সিনহার গতবিধি মূলত ছিল পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র করে। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ হারানোর পর রাহুল সিনহার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপির অন্দরেই রাহুল সিনহার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তাঁদের মতে, রাহুল সিনহা তাত্ত্বিক নেতা নন। ফলে তাঁর নেতৃত্বের মূল হল জনভিত্তি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে জিততে পারেননি তিনি। যতবার দাঁড়িয়েছেন ততবার হেরেছেন। যা নিয়ে রাহুল সিনহাকে লাগাতার কটাক্ষ করে তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলি। তবুও বিপদের দিনের কাণ্ডারিকে ফেলেও দেওয়া সম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে।
সূত্রের খবর, রাহুল সিনহাকে নিয়ে অন্য ভাবনা রয়েছে বিজেপির। সম্ভবত রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে তাঁকে। করা হতে পারে মন্ত্রীও।
ওদিকে অনুপম হাজরার সর্বভারতীয় সচিব হওয়ায় প্রমাদ গুণছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলটপকা মন্তব্য করতে জুড়ি নেই অনুপমের। সঙ্গে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর এই অধ্যাপককে নিয়ে ভবিষ্যতে নেতৃত্বকে ভুগতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।