শহরের রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যার মধ্যে অন্যতম হল স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা বসানো। সাধারণত কোনও রাস্তায় গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই তার থেকে বেশি গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু জায়গায় এই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এবার টালা সেতুতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা বসাতে উদ্যোগে হয়েছে লালবাজার। জানা গিয়েছে, এই সেতুর দুই প্রান্তে ওঠার মুখে এই ক্যামেরা বসানো হবে। পুলিশের অনুমান, আগামী মাসের মধ্যে ক্যামেরাগুলি বসানোর কাজ শেষ হবে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই বছরের এপ্রিলে শেষ হয় সেই কাজ। চার লেনের নতুন সেতুর দু’দিকে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করতে রেলের জমিতে থাকা ৩৮টি আবাসন ভাঙতে হয়েছে। ২০২০ সালের অগস্টে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ‘লার্সন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড’। পুরনো টালা সেতু ভেঙে যে নতুন সেতু তৈরি হয়েছে তার জন্য খরচ হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা এবং নতুন সেতুটি প্রায় ৮০০ মিটার লম্বা। নতুন সেতুটি চার লেনের। নজরদারির জন্য এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ৬ জন পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও নজরদারির জন্য রয়েছে ১৮ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তা সত্ত্বেও এই সেতু দিয়ে যাতায়াতের সময় অনেকের মধ্যে গতির ঝড় তোলার প্রবণতা দেখা যায়। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে অনেক সময় মোটরবাইক বা গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। যার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই কারণে এই সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ি ওঠার মুখে স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
পুলিশের অনুমান, এই সেতুতে স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা বসানো হলে সে ক্ষেত্রে গাড়ির গতিতে রাশ টানা সম্ভব হবে।। উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টালা সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। ২০১৯ সালে পুজোর আগে ওই স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি সংস্থা রাইটস জানায়, টালা সেতু ভেঙে ফেলে নতুন নির্মাণ প্রয়োজন। সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাও একই সুপারিশ করেন। তারপরেই পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরি করা হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup