নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে আরও ৪০টি বেআইনি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে স্বীকার করল SSC. মঙ্গলবার আদালতে একথা স্বীকার করেছে তারা। এর পর আজই ৪০ জনের তালিকা SSC-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচাপতি।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের প্রধান জানান, অন্তত ২১,০০০ নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। তার পর দিনই নবম-দশম নিয়োগে আরও ৪০টি ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা স্বীকার করল SSC. এর আগে ১৮৩ জন ভুয়ো প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। সব মিলিয়ে ভুয়ো নিয়েগের সংখ্যা দাঁড়াল ২২৩।
এদিন বিচারপতিকে SSC-র আইনজীবী বলেন, ২০১৮ -২০১৯ সালে আসল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ সম্ভব নয়। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক ও SSC দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে ভুয়োদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
এদিন আদালতে SSC জানায়, গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্কে ১০ জন শূন্য পেয়েছেন। SSC দফতরে উদ্ধার হার্ড ডিস্কে তাদেরই নম্বর ৫৩। গাজিয়াবাদের হার্ড ডিস্কে যে সব ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থী ১ বা ২ পেয়েছেন কমিশনের হার্ড ডিস্কে তাদের কারও নম্বর ৫১, কারও ৫২। একথা শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এসব তো ভূতে করেনি। কমিশনের কর্মীরাই এসব করেছেন।
আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের মধ্যে একজন রবিবার রাতে আত্মঘাতী হয়েছেন।