হাইকোর্টে দিনভর এজলাসবদলের পর SSC গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বাধ্য হলেন উপদেষ্টা কমিটির ৪ প্রাক্তন সদস্য। আদালতের রক্ষাকবচ না পেয়ে সোমবার বিকেল ৫টার পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। এদিন তাঁদের হাজিরা নিশ্চিত করতে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ও কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সোমবার বিকেল ৫.৩০ মিনিট নাগাদ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাপস পাঁজা ও অলোক সরকারকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজির হন বিধাননগরের সিপি এর পর সুকান্ত আচার্য ও প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসেন ডিসি সেন্ট্রাল। সিবিআই সূত্রের খবর, সই সাবুদের পর ৬টা থেকে তাঁদের জেরা শুরু হয়েছে। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে কে কী ভাবে যুক্ত তা জানতে তাঁদের জেরা করছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
ওদিকে এদিন সকাল থেকে টানটান নাটক চলে কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার সকালে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির কথা থাকলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে SSC সংক্রান্ত ১১টি মামলাই ছেড়ে দেন তিনি। এর পর মামলা যায় বিচারপতি টিএস শিবাঙ্গনের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনিও মামলা ফিরিয়ে দেন। এর পর মামলা যায় বিচারপতি সৌমিত্র সেনের বেঞ্চে। তিনিও মামলাগুলি শুনতে অস্বীকার করেন। একেবারে শেষবেলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা পাঠান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি মামলা শুনবেন কি না সেব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, এই মামলা নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কী আছে। সিবিআই যেমন তদন্ত করছে করুক। কলকাতা হাইকোর্ট সঠিক সময় এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
বলে রাখি, এই মামলায় গত শুক্রবার উপদেষ্টা কমিটির ৪ প্রাক্তন সদস্যকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই হাজিরা এড়িয়ে সেদিন অভিযুক্তরা জানিয়েছিলেন, সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে মামলার। ফলে এদিন হাজিরা না দিলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হত অভিযুক্তদের।