কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল এক মাসের মধ্যে কাউন্সেলিং সেরে ফেলে উচ্চপ্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫২ জন প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর তার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। উচ্চপ্রাথমিকে ১৪ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে গরমিল দেখা দেওয়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশন হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন করতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কবে ইন্টারভিউ হবে আপার প্রাথমিকের প্যারা-টিচারদের? জানাল SSC, অ্যাডমিটের কোনদিন?
এসএসসি সূত্রের খবর, এমন অনেক প্রার্থী রয়েছে, যাঁদের শংসাপত্রের গরমিল রয়েছে। আবার বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নম্বরে গরমিল রয়েছে। তাছাড়া, ইন্টারভিউ হওয়ার পরে তথ্য গরমিল পেয়েও বেশ কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আবার বেশ কিছু প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীও রয়েছেন। এসব নিয়ে জটিলতা তো রয়েছে, তার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। এই অবস্থায় ১৪ হাজার ৫২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছে। তাতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চের ওই নির্দেশের পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ হবে। তবে ফের জটিলতা তৈরি হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর জন্য তারা এসএসসিকেউ দায়ী করেছেন।
চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীনই বিভিন্ন বিষয় গরমিল পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছিল এসএসসি। ফলে কমিশন যদি বিতর্কিত প্রার্থীদের তালিকায় নাও রাখে, তাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নেই। আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ এবং নিয়োগে দেরি করতে চায়ছে বলেই অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের। এনিয়ে দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশ এবং নিয়োগের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে বিক্ষোভ করার কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যরা।